ফেনীর পরশুরামের নিজ কালিকাপুর সীমান্তে বল্লামুখা বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এদিকে বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের লোকজন বাঁধ নির্মাণকাজ চালু রেখেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ভারতীয় বিএসএফ বাঁধ নির্মাণে বাধা দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
গত বছরের ২০ আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় ভারতীয়দের সহযোগিতায় বিএসএফ বল্লামুখা বেড়িবাঁধের বাংলাদেশের অংশে কেটে দিলে পরশুরামের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দে বাঁধ পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ শুরু পরপরই বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফ বাধা দেয়। এদিকে বাঁধ নির্মাণে বাধার কারণে নিজ কালিকাপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের ২০ আগস্ট টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পরশুরামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। স্মরণকালের ওই বন্যায় জেলার কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। একই সময়ে মুহুরী নদীর তীরবর্তী পরশুরামের নিজ কালিকাপুর সীমান্তের বল্লামুখা বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
স্থানীয়রা জানান, বল্লামুখা বেড়িবাঁধে ১৯০ মিটারের কাজে বিএসএফ বাধা প্রদান না করলেও অপর অংশের ৭০ মিটার বাঁধ পুনর্নির্মাণে বাধা প্রদান করে। ৭০ মিটার বাঁধের অংশে ৩০ মিটার দুদেশের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বলে ভারতীয় বিএসএফ এমন অভিযোগ করে বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণে বাধা প্রদান করে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দা কালা মিয়া (৪০) বলেন, বিজিবির নিজ কালিকাপুর ক্যাম্পের সদস্যরা আমাদেরকে কাজ অব্যাহত রাখতে বলেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার জানান, বল্লামুখা বাঁধের কাজ ঠিকাদার অব্যাহত রেখেছে বলে জেনেছি।
এ ব্যাপারে বিজিবির ফেনীর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন জানান, ১৫০ গজের বাইরের অংশে বাঁধ পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে। ৩০ মিটার জায়গায় আপত্তির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক কাজ চলছে।