পশ্চিমবঙ্গে গাছের অভাবে মিলছে না খেজুরের রস

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। কিন্তু বছরের শেষ দিকে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। শীত মানেই সুগন্ধী খেজুরের রসের তৈরির গুড়ের পিঠাপুলি। তবে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে গাছের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী মিলেছে না খেজুরের রস। ফলে রাজ্যজুড়ে সেভাবে ভালো খেজুরের গুড়ও পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজ্যবাসী। ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা ছাড়াও রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলে আগে ছিল খেজুর গাছের রমরমা অবস্থা। নানান প্রতিকূলতার কারণে এখন গাছের সংখ্যা ধীরে ধীরে অনেক কমে গেছে। ফলে খেজুর গাছে হাড়ি বাঁধলেও চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না রস। পর্যাপ্ত পরিমাণে রস পাওয়া না যাওয়ার কারণে ভালো খেজুরের গুড়ের চাহিদা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ন, নির্বিচারে খেজুর গাছ কাটা এবং গাছিদের সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রসের নলেন গুড়, ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়ের উৎপাদন ও গুণগতমান কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সস্তায় নকল গুড় বাজারে আসছে যা এই শিল্পকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক ‘গাছি’ বা ‘শিউলি’ অনেকেই আবার বলে ‘গাছিয়াল’ এই শীতের মৌসু, খেজুরের রসের

পশ্চিমবঙ্গে গাছের অভাবে মিলছে না খেজুরের রস

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। কিন্তু বছরের শেষ দিকে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। শীত মানেই সুগন্ধী খেজুরের রসের তৈরির গুড়ের পিঠাপুলি। তবে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে গাছের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী মিলেছে না খেজুরের রস। ফলে রাজ্যজুড়ে সেভাবে ভালো খেজুরের গুড়ও পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজ্যবাসী।

ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা ছাড়াও রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলে আগে ছিল খেজুর গাছের রমরমা অবস্থা। নানান প্রতিকূলতার কারণে এখন গাছের সংখ্যা ধীরে ধীরে অনেক কমে গেছে। ফলে খেজুর গাছে হাড়ি বাঁধলেও চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না রস। পর্যাপ্ত পরিমাণে রস পাওয়া না যাওয়ার কারণে ভালো খেজুরের গুড়ের চাহিদা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছে না।

jagonews24.com

জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ন, নির্বিচারে খেজুর গাছ কাটা এবং গাছিদের সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রসের নলেন গুড়, ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়ের উৎপাদন ও গুণগতমান কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সস্তায় নকল গুড় বাজারে আসছে যা এই শিল্পকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক ‘গাছি’ বা ‘শিউলি’ অনেকেই আবার বলে ‘গাছিয়াল’ এই শীতের মৌসু, খেজুরের রসের গুড়ের চাহিদাকে সম্বল করেই তাদের আর্থিক হাল ফেরানোর চেষ্টা করেন। তারাও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছেন।

শিউলি অর্থাৎ যারা গাছে উঠে খেজুর গাছকে কেঁটে রসের উপযোগী করে তোলেন তাদের সংখ্যাও কমে আসছে বলে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

উত্তর২৪ পরগনা জেলার বাগদার এক শিউলি বিধান ভক্ত জানিয়েছেন, দিন-দিন খেজুরের রসের তৈরি গুড়ের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু আগের মতো গাছ না থাকায় সেভাবে রসের যোগান পাওয়া যাচ্ছে না ফলে ভালো খেজুরের গুড়ও পাওয়া যাচ্ছে না।

jagonews24.com

গাছিয়াল বিধান ভক্ত আরও বলেন, নতুন করে গাছ লাগিয়ে গাছের পরিচর্যা করতে হবে। তাহলেই খেজুরের রসের যোগান বাড়বে এবং ভালো গুঁড়ও পাওয়া যাবে।

এই সমস্যা সমাধানে খেজুর গাছ সংরক্ষণ, শিউলিদের প্রশিক্ষণ এবং উন্নত বিপণন ব্যবস্থা প্রয়োজন। তা না হলে দুষ্পাপ্য হয়ে উঠবে বাঙালির প্রিয় শীতের ভোরের খেজুর গাছের শীতল সুস্বাদু রস।

ডিডি/টিটিএন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow