প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে যাদের অবস্থান ১৩তম নম্বর। বাংলাদেশের সঙ্গে যাদের ট্র্যাক রেকর্ডও আহামরি নয়। সেই দলের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ভাবনার কী আছে? তাই ভক্ত-সমর্থকদেরও কারোই ডাচদের সঙ্গে সিরিজ নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই।
বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কী করে, তা দেখার চেয়ে টাইগার ভক্তদের চোখ অন্যদিকে। তারা মুখিয়ে আছেন পাওয়ার হিটিং কোচের অধীনে যে ট্রেনিং হলো, তার ফল জানার জন্য।
ইংলিশ কোচ জুলিয়ান উড যে টাইগারদের পাওয়ার হিটিং শিখালেন, তা থেকে কে কী শিখলেন? ব্যাটার ও বোলারদের মধ্যে কার কার পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য বাড়লো? কে আগে ছক্কা হাঁকাতে পারতেন না, এখন পারেন কিংবা পারবেন? কার ব্যাট থেকে ছক্কা বৃষ্টি ঝরবে? কে আগের চেয়ে জোরে মারতে শিখলেন? কার ব্যাট থেকে আসা ছক্কাগুলো কত দূরে গিয়ে পড়বে? এসব সাতপাঁচ ভাবনায় অধীর টাইগার ভক্তরা।
সমর্থকদের সেসব কৌতূহলী প্রশ্নের আগাম একটা ধারণা মিলেছে। অন্য কেউ নন, খোদ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসই দিয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে লিটন জানিয়ে দিলেন, দুই-তিনদিনের ট্রেনিংয়ে আসলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কেউ অত অল্প সময়ের জন্য ট্রেনিং করাতে এসে আহামরি কোনো রদবদল করতেও পারবেন না। আর সবচেয়ে বড় কথা ট্রেনিং যাই হোক, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দরকার ম্যাচ খেলার। কিন্তু কোনো ম্যাচ তো আর খেলা হয়নি। খেলা হলে বোঝা যাবে আদৌ পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য বেড়েছে কিনা?
লিটনের ভাষায়, ‘দেখুন কেউ এসে দুই তিন দিনে পুরোপুরি বদলে দিতে পারবে না। কিন্তু তার (জুলিয়ান উড) কিছু চিন্তা ছিল অনুশীলনের, যেগুলো আমাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। আমরা কাজ করেছি। দেখা যাক, এখনো তো ম্যাচ খেলিনি। সে আসার পর আমাদের একটা ম্যাচও হয়নি। সুতরাং নেদারল্যান্ডস সিরিজ দিয়েই দেখা যাবে বাংলাদেশ দল এখান থেকে কতটা উন্নতি করেছে।’
এর বাইরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অল্প কয়েক দিনের ট্রেনিংয়ে উন্নতির কিছু নেই। তার চেয়ে বড় কথা, যাদের ট্রেনিং করানো হলো তারা গড়পড়তা ৭-৮ বছর ধরে খেলছে। আবার কারও কারও খেলার বয়স ১০ বছরে পড়েছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই সবার খেলার একটা ধরন তৈরি হয়ে গেছে। এত দিন খেলার পর তাতে নতুন কিছুর যোগ করা কঠিন। এজন্যও সময় প্রয়োজন।
লিটন বোঝাতে চেয়েছেন, দীর্ঘদিন একটা ঢং, ঠক ও ধরনে খেলার পর নতুন কিছু রপ্ত করা কঠিন। প্রয়োগ ঘটানোও সহজ না।
টাইগার অধিনায়কের ভাষায়, ‘এক দুই দিনের সেশনে আসলে আপনি খুব বেশি উন্নতি করতে পারবেন না। এখানে আমরা যারা ক্রিকেট খেলি তাদের সবারই প্রায় ৭-৮ বছর হয়ে গেছে। অনেকের হয়তো ১০ বছরও হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের একটা প্যাটার্ন আছে, যে যার প্যাটার্নেই খেলতেছে। তার ভেতরেও ভিন্ন কিছু আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা দেখা যাবে তবে আপনাকে একটু সময় দিতে হবে। কোনো কিছু তো এক দুইদিনে পরিবর্তন হয়ে যায় না। যদি একটু সময় ধরে চালিয়ে যাই, মনোযোগ রাখতে পারি হয়তো বা অদূর ভবিষ্যতে পরিবর্তন আসবে।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম