পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন কারাগারে। গত জানুয়ারিতেই তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। শুধু তাই নয়, আরও অনেকগুলো মামলা রয়েছে তার নামে। সেই ইমরান খানের নামে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একটি এনক্লোজারের নামকরণ করা হয়েছিলো। মাঝে একবার মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো ইমরানের নাম; যদিও পরে সেটা বহাল রাখা হয়।
তবে, এবার কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামে পুরো একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হচ্ছে পাকিস্তানে।
ইমরান খানের দল তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চলছেই পাকিস্তানে। তবুও কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিসেবে ইমরান খানকে সম্মান জানাতে কৃপণতা করছে না দেশটির একটি রাজ্যের স্থানীয় সরকার। প্রসঙ্গতঃ ১৯৯২ সালে ইমরানের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জিতে নেয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার প্রদেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু, আরবাব নিয়াজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ইমরান খান ক্রিকেট স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, গান্ডাপুর ক্রীড়া বিভাগের একটি সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেন মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন খান। সেখানেই ইমরান খানের নামে স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় উপস্থাপন করা হবে।
প্রদেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী সৈয়দ ফাখর জাহান ডনকে বলেন, এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে, কারণ ইমরান খান দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নাম। সবচেয়ে ভালো হতো, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নামই ইমরান খানের নামে করা হলে; কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র একটি এনক্লোজারের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে।
১৯৮৬-৮৭ সালে পেশোয়ারের শাহি বাগ এলাকায় অবস্থিত স্টেডিয়ামটি তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্দেশনায় পেশোয়ার মিউনিসিপাল কর্পোরেশন কর্তৃক পেশোয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মাধ্যমে নির্মিত হয়। শুরুতে স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার এবং এটি স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচের জন্য একটি ছোট প্যাভিলিয়নসহ নির্মিত হয়।
পরবর্তীতে এটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে ক্রীড়া বোর্ডে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৯৮৬-৮৭ সালে প্রাদেশিক সরকার এর উন্নয়ন করে। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সময় এই স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা আরও উন্নত করা হয়।
আইএইচএস/