পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী এখন পর্যন্ত ১৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩০ হামলাকারী। বাকি জিম্মিদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে মঙ্গলবার সশস্ত্র হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ট্রেনটিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন প্রায় ২০০ জন। নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন>>
- পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক, কয়েকশ যাত্রী জিম্মি
- পাকিস্তানে হাইজ্যাক হওয়া ট্রেনে আছেন ৪ শতাধিক যাত্রী
- পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মিদশা, নিরাপত্তা অভিযানে নিহত ২৭
ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭০ থেকে ৮০ জন হামলাকারী জড়িত বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা আফগানিস্তানে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান, জার্মানি ও জাতিসংঘ।
রেডিও পাকিস্তানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রেনের নিরীহ যাত্রীদের খুব কাছে কিছু আত্মঘাতী হামলাকারী অবস্থান করছে। তারা বিস্ফোরক বেল্ট পরে রয়েছে। মানবঢাল হিসেবে যাত্রীদের ব্যবহার করায় অভিযান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চালানো হচ্ছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান করছে এবং আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে অন্য একটি দেশ থেকে। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত এ ঘটনার মদত দিয়েছে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, বিএলএ নিজেদের আদর্শ বন্দুকের মাধ্যমে চাপিয়ে দিতে চায়। তারা নিরীহ যাত্রীদের হত্যা করছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, অভিযানের কারণে সন্ত্রাসীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং বোলান পাস এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তান রেলওয়ে জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোয়েটাগামী ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকবে।
সূত্র: ডন
কেএএ/