পানিবন্দি স্কুল, বাড়ির উঠানে তাঁবু টানিয়ে চলছে লেখাপড়া

6 days ago 8

মাঠে পানি, উঠানে পানি, বাড়িতে পানি, স্কুলে পানি। গোটা এলাকাজুড়ে পানিতে টইটুম্বুর। তাই বলে তো আর লেখাপড়া থেমে থাকবে না। তাই বাড়ির উঠানে তাঁবু টাঙিয়ে চলছে লেখাপড়া। এ দৃশ্য যশোরের মণিরামপুরের ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

গত এক মাস ধরে হাঁটুপানিতে তলিয়ে আছে স্কুল আঙিনা। তাই বাধ্য হয়ে সভাপতির বাড়ির উঠানে তাঁবু টাঙিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ভবদহের জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে এভাবেই ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ভবদহ বিলপাড়ের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। যশোরের মণিরামপুরের ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তার একটি। তাঁবুর নিচে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন লেখাপড়া করছে।

আরও পড়ুন:

বন্যাকবলিত মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ভূলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। সোমবার (১৮ আগস্ট) ছিল পরীক্ষার প্রথম দিন। তখন পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক সিপ্রা সরকার। শুধু এই বিদ্যালয় নয় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পানি-কাদা ভেঙে বিদ্যালয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার কুমাসীমা, হাটগাছা, পাঁচকাটিয়া, মহিষদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বিকল্পভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শ্রেয়া বিশ্বাস, দেবব্রত বিশ্বাস, পঞ্চম শ্রেণির কামনা বিশ্বাস, অনুষ্কা বিশ্বাসসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় কোমর পানি। আবার স্কুলের উঠানে হাঁটুপানি। এই পানি মাড়িয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে আসতে হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন:

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণেশ বিশ্বাস বলেন, গত এক মাস ধরে স্কুলের মাঠ তলিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের পিটিএ (প্যারেন্টস টিসার্স অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতির বাড়িতে তাঁবু টানিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।

পিটিএ সভাপতি নিত্য বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখতে গ্রাম থেকে বাঁশ-খুঁটি সংগ্রহ করে তার বাড়ির উঠানে তাঁবু টানানো হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিললুর রশীদ জানান, উপজেলার কমপক্ষে ২৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু মোতালেব জানান, উপজেলার ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেলেও বিকল্পভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এমএন/এমএস

Read Entire Article