পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ২০

4 months ago 22

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

এসময় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে আগুন দেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলমের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙে দেন জামায়াত কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যার আগে দেবোত্তর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ২০

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন প্রথমে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা কমিটির সহসভপতি ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আমিরুল ইসলামের ভাষ্য, বিএনপির লোকজনের কথামতো মনোনয়নপত্র দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে বিএনপির লোকজন অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারধর করেন। এরই প্রতিবাদে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আসরের আজান হওয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে যান তারা। বিএনপির লোকজন তখন মসজিদকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়েন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন। এসময় তারা আবার হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা বিএনপির সদস্য সচিব আলমের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় জামায়াতের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ২০

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে মসজিদে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই বিএনপি নেতা।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article