পারস্পরিক সহযোগিতা না থাকলে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে: রিজভী

2 months ago 5

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্র থাকবে না, সমাজ থাকবে না। আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, গণতন্ত্রে আলোচনা থাকবে সমালোচনা থাকবে আবার ভিন্নমতও থাকবে। একে অন্যকে আমরা কঠোর সমালোচনাও করবো। এটা গণতন্ত্রের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য। এটা যেমন গণতন্ত্রের একটা বৈশিষ্ট্য, একইভাবে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এবং সামাজিক গণতন্ত্র সুসংহত ও শক্তিশালী হয় পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, আমাদের কণ্ঠের স্বাধীনতা এবং রাজনীতি করার স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতাও থাকবে। এটা থাকতেই হবে। তা না হলে রাষ্ট্র থাকবে না, সমাজ থাকবে না। আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে, আবার অনেক আহনাফ, অনেক আবু সাঈদ, মুগ্ধ হয়ত আমাদের কাছ থেকে ঝরে যাবে। সেদিন যেন আবার প্রত্যাবর্তন না করে সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ এখানে অনেক রাজনৈতিক দল উপস্থিত হয়েছি। আমাদের মধ্যে ন্যূনতম বোঝাপড়াটুকু থাকতে হবে।

জুলাই আন্দোলনে তরুণদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তরুণ বাচ্চাদের যে আওয়াজ পেয়েছি, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সফল করার তাদের যে আকুতি, প্রাণকে উৎসর্গ করা মহিমান্বিত রূপ আমরা দেখেছি তা আজও আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। মুগ্ধের একটি কথা, ‘পানি লাগবে পানি’ এই কথাতেই একটি মহাকাব্য রচনা হতে পারে। সুতরাং আর যেন কোনো মুগ্ধ, আবু সাঈদ, ওয়াসিম আকরাম ঝরে না যায়। এজন্য জাতীয়ভাবে কোথাও না কোথাও একটা পারস্পরিক সহযোগিতার জায়গা থাকতে হবে।

এর আগে বিকেল ৩টায় পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কুরআন তেলোয়াতের পর শহীদদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর জুলাই-আগস্টে ও গত ১৭ বছরে নিহত ও গুম হওয়াদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীতের পর জুলাই আন্দোলনের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর গুম হওয়া পরিবারের সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এমএইচএ/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article