যশোরে আলোচিত সন্ত্রাসী রবি ওরফে পিচ্চি রবিকে (২২) রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁচড়া মোড়ে র্যাবের সদস্যরা রবিবে ঘিরে ফেললে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় তার প্যান্টের পকেটে থাকা ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে র্যাবের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন।
পিচ্চি রবি রেলগেট চোরমারা দীঘির পাড়ের বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও বোমা হামলাসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের পর বিকেলে তাকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, যশোর রেলগেট এলাকার প্রাইভেটকারচালক রনি শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় মুরাদ ও রবি এসে তাকে বেনাপোলে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু রনি জানান, তার গাড়িতে ভাড়া আছে, তিনি ব্যস্ত থাকায় যেতে পারবেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। প্রায় আধাঘণ্টা পর পিচ্চি রবি, পুলেরহাটের কবিরের ছেলে মুরাদসহ কয়েকজন তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে রনিকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন।
ককটেলটি রনির মাথার ওপর দিয়ে পাশের এক দোকানে বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি জখম হন। হামলার পর আসামিরা রনিকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা রনিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে আহত রবিউল ইসলাম রনির স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার বাদী হয়ে পিচ্চি রবি ও মুরাদকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরে যশোর রেলগেট এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসীকে আটকে অভিযান চালায় বলে জানান র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার মো. রাসেল।
তিনি জানান, পিচ্চি রবির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা জানতে পারেন, পিচ্চি রবি চাঁচড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার প্যান্টের ভেতর থাকা একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
রবি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তার সহযোগীদেরও আটকে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
মিলন রহমান/এসআর