শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুর বেনারসি পল্লিতে বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে নতুন নকশার শাড়ির পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মিরপুর ‘অরিজিনাল ১০ নম্বরে’ বেনারসি পল্লির দোকানগুলো ঘুরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। নিজের বা স্বজনদের জন্য পছন্দের শাড়িটি কিনতে তারা এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছিলেন।
‘লাল বউ বেনারসি’ দোকানে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশের সঙ্গে। সঞ্জীব জানান, তিনি কাঞ্চিপুরাম শাড়ি খুঁজছেন, তবে ভালো মানের পাওয়া যাচ্ছে কম। অধিকাংশ দোকানে একই ধরনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি। ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকায় দেশের মধ্যে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে কাতান, সিল্ক, কাঞ্চিপুরাম, মিরপুরের কাতান, জামদানি, গাদওয়াল, ইক্কত, তসর, মটকা, উপহার ও পার্টি শাড়ির চাহিদা বেশি। এসব শাড়ির দাম দোকানভেদে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর শুধু পূজা নয়, বিয়ে এবং অন্যান্য পারিবারিক ও সামাজিক উৎসবের জন্যও এখন শাড়ি কেনাকাটায় মানুষ আগ্রহী।
আরও পড়ুন
পূজাতে ঘর সাজাবেন যেভাবে
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
শেষ মুহূর্তে প্রতিমা রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা
‘গুলশান শাড়ি বিতান’র বিক্রয়কর্মী সজীব জানান, পুজোর সময় উপহারের শাড়ির বিক্রি বেশি হয়। সনাতন ধর্মালম্বীরা প্রচুর শাড়ি কেনেন এবং উপহার দিতে পছন্দ করেন।
‘মল্লিকা বেনারসি’র বিক্রয়কর্মী রাসেল বলেন, উপহারের শাড়ির মধ্যে যেগুলোর দাম সাধারণত দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, সেগুলো বিক্রি বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি কাতান ও সিল্ক শাড়ির চাহিদাও ভালো। নতুন নকশার শাড়ি আসছে প্রতিদিন।
রাসেল জানান, ভারতের ভিসা দেওয়া সীমিত থাকায় সেখানে গিয়ে শাড়ি কেনার সুযোগ অনেকে পাচ্ছেন না। ফলে দেশের ভেতর বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
‘রেসা বেনারসি’র ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম রনি জানান, এবারের বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় ভালো। পূজার কেনাকাটায় শাড়ি অন্যতম প্রধান সামগ্রী। এমন শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে যা ঘরোয়া কাজে নিয়মিত পরা যায়।
এসএম/একিউএফ/এএসএম