প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ইমরানও মারা গেছে

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ ইমরানও মারা গেছে। এ ঘটনায় ইমরানের চাচাতো ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।  

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

অতর্কিত হামলায় নিহত আরিফ মীর (৩৫) ও ইমরান খান (২২) সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ইমরান খান মোল্লাকান্দির রুস্তম খাঁর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আতাউর রহমান আতিক মল্লিক ও মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ওয়াহিদ মোল্লার সমর্থক শাহ কামাল গ্রুপের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ হোসেনের সমর্থক নিহত আরিফ গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। সোমবার সকালে শাহ কামালের নেতৃত্বে একদল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ করে। এতে আরিফ ও ইমরান গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ ইমরানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ইমরানও মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মারা গেছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম মঙ্গরবার দুপরে কালবেলাকে বলেন, আহত ইমরান খানের মৃত্যু সম্পর্কে আমরাও নিশ্চিত হয়েছি। গতকালের (সোমবার) ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন সোমবার জানান, দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এদের মধ্যে আরিফ নামে এক হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহের ব্যবধানে মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দিতে খুন ও পাল্টা খুনের ঘটনা ঘটছে। গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি ক্লিনিকের সামনে তুহিন দেওয়ান (২২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত তুহিন স্থানীয় আতাউর রহমান মল্লিক গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।