প্রাণঘাতী বন্যাকে ‘আশীর্বাদ’ বললেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

5 hours ago 2

রেকর্ড ভাঙা মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান। বিশেষত পানিতে নিমজ্জিত পাঞ্জাব প্রদেশ। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশটির প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে গেছে এক হাজারেরও বেশি গ্রাম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৫৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১১শ জনেরও বেশি।

এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উদ্ধার পাওয়া যায় তা নিয়ে যখন দিশাহারা বাসিন্দারা, তখনই এক সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

তিনি বলেছেন, বন্যার পানিকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে দেখতে হবে। এমনকি বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যারা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা এই পানি ঘরে নিয়ে আসুন। ঘরের টব কিংবা বড় বড় পাত্রে জমিয়ে রাখুন। আমরা পানি ড্রেনে ফেলে দিচ্ছি, অথচ আমাদের এটি সংরক্ষণ করা উচিত।’

খাজা আসিফ আরও প্রস্তাব দিয়েছেন- পাকিস্তানকে দীর্ঘ ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করে বড় বাঁধ নির্মাণের দিকে গুরুত্ব না দিয়ে দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে এমন ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি জানিয়েছেন, বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা ইতোমধ্যেই কয়েক মিলিয়নে পৌঁছেছে। সতর্ক করা হয়েছে, চেনাব নদীর পানি মঙ্গলবারের মধ্যে মুলতান জেলায় পৌঁছাতে পারে এবং রাভি নদীর পানির সঙ্গে মিশে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া নদ-নদীর পানির স্তর ৫ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সুতলেজ নদীর পানি ক্রমশ সুলেইমানকি ও হেড ইসলামসহ বিভিন্ন বাঁধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই দিন পাঞ্জাবজুড়ে আবারও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে এবং পানির স্তর আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বন্যায় আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় এবং পাকা ধান-গমসহ বিভিন্ন ফসল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে খাদ্যসংকট ও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Read Entire Article