যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার পর শেষ হয়েছে বন্দি বিনিময়। চুক্তি অনুসারে সোমবার (১৩ অক্টোবর) হামাস গাজায় আটক থাকা বাকি ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলও ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্ত করেছে।
এরপর মুক্তি এসব মানুষের নানা অভিজ্ঞতা আর অভিপ্রায় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তেমনি হামাসের হাতে বন্দি থাকা এক ইসরায়েলি সেনার সাক্ষাৎকার নিয়েছে ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩। এই চ্যানেলে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি সেনা মাতান আঙ্গরেস্ট জানিয়েছেন, বন্দিদশায় তিনি প্রার্থনার জন্য প্রয়োজনীয় যেসব ধর্মীয় উপকরণ চেয়েছিলেন, হামাস তার জন্য সব সরবরাহ করেছিল।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি হামাসের কাছে টেফিলিন (প্রার্থনার সময় মাথায় পরা চামড়ার বাক্স), সিদ্দুর (ইহুদি প্রার্থনাপুস্তক) এবং তোরা চেয়েছিলেন। হামাস তার অনুরোধ পূরণ করে এই উপকরণগুলো এনে দেয়। হামাস সদস্যরা গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থানস্থল থেকে এসব সংগ্রহ করে তাকে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বন্দিদশায় তিনি প্রতিদিন তিনবার প্রার্থনা করতেন এবং বেশ কয়েকবার ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান, কারণ সেই হামলাগুলো তার অবস্থান করা এলাকাকেও লক্ষ্য করেছিল।
হামাস বহুবার জানিয়েছে, তারা বন্দিদের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এবং ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণই বন্দিদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
এই সেনার অভিজ্ঞতা ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্টের সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য তৈরি করেছে, যেখানে নির্যাতন, চিকিৎসা অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে।
কেএম