প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

2 days ago 8

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন। ৪ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে তিনি সেখানে যাবেন। এ সময়ের মধ্যে জাপান ও ফ্রান্সেও যাবেন ব্লিঙ্কেন। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনার মধ্যেই তিনি দেশটিতে যাচ্ছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন এবং আলোচনা করবেন। তিনি একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের পাশাপাশি জাপানের সাথে ত্রিপাক্ষিক প্রচেষ্টাকে জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, ফ্রান্সে ব্লিঙ্কেনের আলোচনার বিষয়বস্তু হবে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের চ্যালেঞ্জ। সেসব নিয়ে ফ্রান্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। এ ছাড়া, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার চলমান প্রচেষ্টার বিষয়টিও আলোচনায় থাকবে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়া সফর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ নজর কেড়েছে। কারণ, মাত্র একদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে গেছেন দেশটির তদন্তকারীরা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়েও তারা ব্যর্থ হন। এ সময় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কম্পাউন্ডে উত্তেজনা ও নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের গার্ড এবং সেনাবাহিনীর একটি দল সিউলের কেন্দ্রস্থলে ইউনের বাসভবনে অবস্থান নিয়েছিলেন। শুক্রবার কম্পাউন্ডের অভ্যন্তরে তদন্তকারীরা প্রবেশ করলে একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। সেনারা তদন্তকারীদের মূল ভবনের দিকে এগোতে দেয়নি। উচ্চপর্যায়ের আলোচনাতেও সেনারা প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেয়নি। তারা গ্রেপ্তারের চেষ্টাকারীদের আদালতের নির্দেশ পালনে বাধা দেন। অবশেষে ছয় ঘণ্টা কম্পাউন্ড চত্বরে অবস্থানের পর অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে যান তারা।

তদন্তকারীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ জন্য সমর্থকদের মানবপ্রাচীর, পিএসএস ও সেনা বাধার কথা উল্লেখ করা হয়। আজ ফিরে গেলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা।

এ নিয়ে দেশটিতে তীব্র উত্তেজনা চলছে। এমন সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বিশেষ অর্থবহ। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন প্রভাব প্রবল। অপরদিকে সিউলের চির বৈরী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। 

Read Entire Article