ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

4 hours ago 5

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়ক জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের কারণে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। ফলে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাড়িতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা গোল চত্বর পর্যন্ত ৯৩ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের মতো। অন্যদিকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত মাত্র ৩২ কিলোমিটারে লাগে এক ঘণ্টারও বেশি। পদ্মা সেতু চালুর পর এ মহাসড়কে উত্তরবঙ্গের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যাত্রী ও গাড়িচালকদের অভিযোগ, সড়কের দৈন্যদশা নিয়ে সড়ক বিভাগের টনক নড়ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের মুন্সিবাজার থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ সড়কের সংযোগ পর্যন্ত খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। তবে বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও এ সড়কে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির দ্বিগুণ সময় লাগছে।

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

এদিকে পদ্মা সেতুর কারণে যান চলাচল দ্বিগুণ হলেও সড়কের কোনো উন্নয়ন বা প্রশস্তকরণ হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ব্যস্ত এ মহাসড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।

চালকরা জানান, সড়ক জুড়ে ছোট-বড় গর্তের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেক যানবাহন। বৃষ্টির মৌসুমে কাদামাটি ও গর্তে জমা পানির মধ্য দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

রাকিব শেখ নামে এক পরিবহন চালক জাগো নিউজকে বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালানোর কোনো কায়দা নেই। গত বর্ষা মৌসুমে যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার ভয় রয়েছে। আবার গভীর রাতে ছিনতাইয়ের ভয়ও বেড়েছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরি।

মুরাদ হোসেন খান নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি সড়ক নয়, যেন মৃত্যুফাঁদ। যানবাহন চালানো দূরে থাক, হেঁটে চলাচলের অবস্থাও নেই। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চলতে গিয়ে ভয়ে থাকি।

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ্ সরদার বলেন, চার লেনের প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। কিছু সংস্কার করে সড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

এফএ/এএসএম

Read Entire Article