শেরপুরের নকলার গ্রামের বাড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর (অফিসার) খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের (৩৭) মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। মরদেহ দাফনের সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রাম।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নকলার লাবা গ্রামে নাঈমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষা করছেন মরদেহের জন্য। মরদেহ দাফনের জন্য বাঁশ কেটে প্রস্তুত করা হয়েছে। অনেকেই কান্নাকাটি করছেন নাঈমের রেখে যাওয়া দুটি সন্তানের জন্য।
নাঈমের চাচাতো ভাই সোহরাব হোসেন বলেন, খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে কবর খনন করা হয়েছে নাঈমের জন্য। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে। রাত ১০টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতুল নাঈম শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হন। তার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
মো. নাঈম ইসলাম/এমএন/জেআইএম