ফেসবুকে ফিরছে এক দশক আগের জনপ্রিয় ফিচার! জেনে নিন সুবিধা
এক সময় ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় ফিচার ছিল ‘পোক’। কারও মনোযোগ কাড়তে, মজা করতে কিংবা স্রেফ বিরক্ত করার জন্যও ফিচারটি ব্যবহার হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পোকের ব্যবহার আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাই ফেসবুক এবার নতুনভাবে ফিচারটি সামনে আনছে।
নতুনভাবে পোক ব্যবহার
এখন ব্যবহারকারীরা সরাসরি বন্ধুর প্রোফাইল থেকে নতুন পোক বোতামে ক্লিক করে পোক দিতে পারবেন। কেউ পোক পেলে তা নোটিফিকেশনে দেখা যাবে। এ ছাড়া facebook.com/pokes লিংকে গিয়ে দেখা যাবে কে কাকে পোক দিয়েছে, কতবার দিয়েছে, এমনকি মোট পোক কাউন্টও দেখা যাবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা কোনো পোক উপেক্ষা করার সুযোগও পাবেন।
গ্যামিফিকেশনের ছোঁয়া
নতুন এই পোক কাউন্ট মূলত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করেই আনা হয়েছে। টিকটক বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপে ‘স্ট্রাইকস’ ফিচারে যেভাবে প্রতিদিন যোগাযোগ ধরে রাখার মাধ্যমে বন্ধুত্বের গভীরতা মাপা হয়, তেমনি ফেসবুকের পোক কাউন্টেও ভার্চুয়াল সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বোঝানো হবে।
পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা
২০২৪ সালের মার্চে ফেসবুক প্রথম পোককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। তখন সার্চ বারে বন্ধুর নাম খুঁজলেই সরাসরি পোক দেওয়ার অপশন যোগ করা হয়। মেটার দাবি, সেই পরিবর্তনের পর এক মাসের মধ্যে পোক করার হার ১৩ গুণ বেড়েছিল।
কেন পোক?
ফেসবুক কখনোই স্পষ্ট করে বলেনি পোকের উদ্দেশ্য কী। তবে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ, বন্ধুত্বে মজা যোগ করা কিংবা বিরক্ত করার জন্যই মূলত ফিচারটি ব্যবহৃত হয়।
তরুণদের টানতে নতুন উদ্যোগ
তরুণ প্রজন্মকে ধরে রাখা ফেসবুকের জন্য সবসময় চ্যালেঞ্জ। কলেজভিত্তিক ‘ফেসবুক ক্যাম্পাস’ চালু করেও ২০২২ সালে সেটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এখন আবার জেনারেশন জেড ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে নতুন ফিচার ডিজাইন করছে মেটা।
যদিও গবেষণা বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ‘দ্য অ্যাংজিয়াস জেনারেশন’ বইয়ের লেখক জন হেইডট ও এনওয়াইইউ স্টার্নের গবেষক জ্যাক রাউশের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপগুলো তাদের আসক্তিমূলক ফিচার আগেভাগেই জানত।
ফেসবুকের নতুন এই পোক ফিচার জনপ্রিয় হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে নিশ্চিতভাবেই বোঝা যাচ্ছে, ব্যবহারকারীদের সক্রিয় রাখতে মেটা আগের মতোই নানা কৌশল নিচ্ছে।
সূত্র : টেকক্রাঞ্চ ও সংবাদ প্রতিদিন