দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কে ফাইভ-জি সেবা চালু করেছে শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা। বাংলাদেশে আশির দশকের শেষ দিকে প্রথম প্রজন্মের, অর্থাৎ ওয়ান-জি প্রযুক্তি আসে সিটিসেলের মাধ্যমে। এরপর ১৯৯৬ সালে আসে টু-জি প্রযুক্তি। এর প্রায় ১৭ বছর পর চালু হয় থ্রি-জি। অন্যদিকে ফোর-জি চালু হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
বাংলাদেশে ফোর-জি চালুর পরের বছর ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করে। বাংলাদেশে কয়েকবার পরীক্ষার পর এবার চালু হলো ফাইভ-জি প্রযুক্তি। কিন্তু অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারছেন না ফাইভ-জি আসলে কীভাবে চালু করবেন এবং এর সুবিধা আসলে কতটুকু পাবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ বোধহয় দেশে খুঁজে পাওয়া একটু মুশকিলই বটে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। যোগাযোগ, ব্রাউজিং কিংবা ভিডিও দেখার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। কিন্তু কাজের সময় ইন্টারনেটের স্পিড ঠিকমতো না পাওয়া বা বাফারিং নতুন কোনো ঘটনা নয়।
ফাইভ-জির মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়বে, যা আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করবে। ফাইভ-জির গতি ফোর-জির চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি হতে পারে। তবে দেশভেদে গতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। ফাইভ-জিতে ডাটা আদান-প্রদানের সময় অনেক কম লাগে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে পাওয়া যায় স্বাচ্ছন্দ্য।
যেসব অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। বিশ্বের যেসব দেশে ফাইভ-জি চালু আছে, সেখানে সাধারণ গ্রাহকদের ব্যবহার ছাড়াও বন্দর পরিচালনা, বাণিজ্যিক কার্যক্রম, চিকিৎসা, শিক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, শিল্প খাতে এই সেবা ব্যবহৃত হয়।
কীভাবে আপনার ফোনে ফাইভ-জি চালু করবেন দেখে নিন-
এজন্য ফাইভ-জি সমর্থন করে এমন মুঠোফোন লাগবে। আধুনিক মডেলের মুঠোফোনগুলো সাধারণত ফাইভ-জি উপযোগী হয়ে থাকে। এজন্য সিম পরিবর্তন করতে হবে না। এমনকি বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না। বিদ্যমান ফোর-জি ডাটা কিনেই গ্রাহকেরা ফাইভ-জি ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থাৎ গ্রামীণফোন ও রবির ফাইভ-জি নেটওয়ার্কভুক্ত এলাকার কোনো গ্রাহকের এই প্রযুক্তি উপযোগী মুঠোফোন থাকলেই তিনি তা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজনে মুঠোফোনের কানেকশন অপশন থেকে ফাইভ-জি চালু করে নিতে হবে।
>> আপনার ফোনের সেটিংসে যান।
>> সেখানে পাবেন মোবাইল ‘নেটওয়ার্ক বা সিম কার্ড অ্যান্ড মোবাইল নেটওয়ার্ক’ অপশন। সেটিতে ট্যাপ করতে হবে।
>> এরপর ‘নেটওয়ার্ক মোড' বা ‘নেটওয়ার্ক টাইপ’-এ যেতে হবে। সেখানে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করতে হবে।
>> ফাইভ-জি ডিভাইসে ফাইভ-জি (স্বয়ংক্রিয়) অপশনটি অন করার পরে, ডিভাইস ফাইভ-জি সিগন্যাল ধরার চেষ্টা করবে। নেটওয়ার্কটি উপলব্ধ হলে স্ক্রিনে ফাইভ-জি এসে যাবে।
- আরও পড়ুন
- সোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও
- পানি ছাড়াও যেসব কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হতে পারে
কেএসকে/এএসএম