ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন তেল খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

6 hours ago 5

বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের কারণে প্রচুর মানুষের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়ছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার নির্বাচনে সামান্য সচেতনতা লিভারের ফ্যাট কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে — বিশেষ করে প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত তেল।

ফ্যাটি লিভার হলো এমন অবস্থা, যখন লিভারের কোষে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে এটি হয়। প্রাথমিকভাবে উপসর্গ না থাকলেও সময়ের সঙ্গে লিভারে প্রদাহ, কোষ ক্ষয় এবং সিরোসিসের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার তেল নির্বাচন খুব জরুরি।

ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন তেল খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

এ বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন আল্-হায়াত হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কনসালটেন্ট ডায়টেসিয়ান ও পুষ্টিবিদ মোহাম্মদ আরিফ ইকবাল।

তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী তেল হলো অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল। এতে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে চর্বি জমা কমায় এবং লিভারের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন তেল খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

আরিফ ইকবাল আরও জানান, সয়াবিন তেল ও ক্যানোলা তেলও পরিমিতভাবে নিরাপদ। এগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম, ফলে লিভারের কোষে প্রদাহ কমে এবং চর্বি জমার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

তবে সরিষা, নারিকেল বা পাম তেল অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ এসব তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি, যা লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকি বাড়ায় এবং ফ্যাটি লিভারের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।

ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন তেল খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

তবে তেল যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। সেই সঙ্গে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা, নিয়মিত হাঁটা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ মোহাম্মদ আরিফ ইকবাল।

এএমপি/এএসএম

Read Entire Article