বদরুদ্দীন উমর আমৃত্যু জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে গেছেন: ফখরুল

20 hours ago 5

‘বদরুদ্দীন উমর আমৃত্যু জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে গেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তার মৃত্যু সংবাদের পর এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমৃত্যু তিনি (বদরুদ্দীন উমর) জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করেছেন ও কলম ধরেছেন। রাজনীতির দূর্নীতিকরণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক জলন্ত প্রতিবাদ। বিদ্যমান রাজনৈতিক সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাঁর মতো নির্ভিক মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবীর বেঁচে থাকা খুব জরুরী ছিল।’

বদরুদ্দীন উমরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লেখক, গবেষক, বামধারার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক বদরুদ্দিন ওমরের মৃত্যুতে আমি বেদনাহত। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের এবং শোষণ মুক্তি সংগ্রামের প্রেরণা ছিল তাঁর লেখনি। ইতিহাসের পরিক্রমায় নানা উত্থান-পতনের ঘটনা নিয়ে তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আজীবন বাম প্রগতিশীল রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট বদরুদ্দিন ওমর সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন নিজ আদর্শে অবিচল থেকে।’

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, স্বৈরশাসকের ধমকে কখনোই নিরব দর্শক হয়ে থাকেননি বদরুদ্দীন ওমর। বরং তিনি তাঁর কথা ও লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের স্বৈরতন্ত্রের মূলে প্রচন্ড শক্তিতে কুঠারঘাত করেছেন।’ বিবৃতিতে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল। এদিকে দলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিকেলে বদরুদ্দিন ওমরের বাসায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ওমরের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাবেন তিনি।

রোববার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন ওমর। পরে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

কেএইচ/এমএমকে/জিকেএস

Read Entire Article