বরগুনার সেই শিশু ও পরিবারের পাশে তারেক রহমান

3 hours ago 4

বরগুনায় আলোচিত সেই শিশু ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে বিশেষ অনুদানের সহায়তা সামগ্রী নিহত মন্টুর পরিবারের হাতে তুলে দেয় বরগুনা জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে মন্টুর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্টু দাসের বাড়িতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে এ বিশেষ অনুদানের সামগ্রী তুলে দেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এ বিশেষ অনুদানে চাল, ডাল, তৈল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও নিহতের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রদান করা হয়। ইফতারের পরে আমানুল্লাহ আমানের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে অডিও কলে মন্টুর স্ত্রী শিখা রানীর সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা। এসময় অডিও কলে তারেক রহমান নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থেকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশেষ অনুদান প্রদানের সময় ন্যায় বিচার পেতে তারেক রহমান ও বিএনপি থেকে আদালতে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আমান কালবেলাকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্টু দাসের রহস্যজনক মৃত্যু ও তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েই (যেহেতু আমার নিজ জেলা বরগুনা) আমাকে কল করে মন্টু দাসের পরিবারের খবর নিতে বলেন এবং সহযোগিতা করার কথা বলেন। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা আজকে মন্টু দাসের বাড়িতে এসেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মন্টু দাসের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, অনুদান প্রদান করেছেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মন্টু দাসের পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা ও নির্দেশে  নিহত মন্টু দাসকে হত্যা ও মেয়েকে ধর্ষণের বিচার পেতে জেলা বিএনপি সবসময় পাশে থাকবে।

নিহত মন্টু দাসের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে নিহত মন্টুর পরিবার। এক সপ্তাহের মধ্যে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ধর্ষিতা মেয়ে, স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু, ছোট ছোট তিন কন্যা সন্তান ও অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় যেন গভীর সমুদ্রের অথৈ পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন স্বামীহারা মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রানী। 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতের বসত ঘরের পেছন থেকে রাত ১টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর ফোনে খবর পেয়ে মন্টু দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকেই মেয়েকে ধর্ষণ ও মন্টু দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আলোচনা সমালোচনা করেন দেশবিদেশে থাকা নেটিজেনরা। ধর্ষণ ও মন্টুর রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবি করা পোস্টগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা ভাইরাল হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

মন্টু দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কালু নামের একজনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়, স্থানীয় ছিদাম, বিপুল ও রফিক নামের তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে।

Read Entire Article