বরিশালে পাইকারিতে সবজির দাম কমলেও চড়া খুচরা বাজারে

6 days ago 10

বরিশালের পাইকারি বাজারে সবজির দাম কমলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরে খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারের দামে তুলনায় দেড়গুণ বেশি দামে। এতে বাজারে এসে চরম বিপত্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বরিশাল নগরীর একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেট ও খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

পাইকারি ও খুচরা বাজারের মূল্যে দেড়গুণ পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি মোকাম থেকে সবজি কেনার পর পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে আনতে হয়। তারপর বাজারে সবজি নিয়ে বসলে সেজন্য ভাড়া দিতে হয়। লাইটের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় সবজি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি দরের তুলনা করে লাভ নেই।

বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি সবজির বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৩৫ টাকা, বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতি পিস ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (দেশী) ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, কাঁচকলা ২০ টাকা হালি, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সবজি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দেড়গুণ দামে।

নগরীর বাংলাবাজারে বাজার করতে আসা সিরাজ হাওলাদার বলেন, যে হারে সব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের না খেয়ে থাকার অবস্থা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন সবজি ৭০-৮০ টাকার নিচে নেই।

আরেক ক্রেতা সাহাবুদ্দিন বলেন, কোন কিছুই আমাদের নাগালের মধ্যে নেই। মাছ মাংসের যে হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সবজি একটু ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল তাও এখন দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলে সব কিছু কিনে বাড়ি ফিরতে পারি না।

নগরীর বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স দুলাল বাণিজ্যলয়ের প্রোপাইটর আমিন শুভ জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। শুধু কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে। এছাড়া সব সবজি আগের চেয়ে ১০ থেকে ২৫ টাকা কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শাওন খান/এমএন/এমএস

Read Entire Article