জমকালো আতশবাজির প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে নতুন বছর ২০২৫ বরণ করলো মালয়েশিয়ানরা। সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে উন্মোচিত এই জমকালো আতশবাজির খেলা উপভোগ করতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটন নগরী রাজধানী কুয়ায়ালালামপুরের টুইন টাওয়ার সংলগ্ন মাঠে নেমেছিল লাখো মানুষের ঢল। মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও উপস্থিত ছিলেন এ মাঠে।
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি-পার্টুয়ান আগং, সুলতান ইব্রাহিম এবং রানি পেরমাইসুরি আগং, রাজা জারিথ সোফিয়া দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ সালের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজা সুলতান ইব্রাহিম সুলতান ইস্কান্দারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ধর্ম ও জাতি নির্বিশেষে মানুষের মঙ্গল কামনা করেছেন। সুলতান ইব্রাহিম এবং রানি জারিথ সোফিয়াও দেশের অব্যাহত সম্প্রীতি ও ঐক্যের মঙ্গল কামনা করেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিমের মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীরাও।
- আরও পড়ুন:
জ্বলন্ত ফানুস পড়ে ধানমন্ডি ও মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড
‘বড় ছেলেটাকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে আছি, বাইরে দানবীয় উল্লাস’
এবারও আইন অমান্য করে মুহুর্মুহু আতশবাজি-পটকায় নতুন বছর উদযাপন
বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে মালয়েশিয়া এগিয়ে যাক'- এ প্রত্যাশায় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা।
‘সিটি অব কালার’ স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন আর ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছিল কুয়ালালামপুর শহরের বিভিন্ন এলাকাকে। এর পাশাপাশি ছিল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক গতিশীলতার পরিবর্তনে, ১৯৬৭ সালে আসিয়ান সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পঞ্চমবারের মতো নতুন বছরে ঘূর্ণায়মান সভাপতির চেয়ারে বসবে মালয়েশিয়া। আতশবাজির দৃশ্য ধারণের জন্য বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসনরা অবস্থান নেন সুউচ্চ দালানগুলোর ছাদে। হেলিকপ্টার টহলে ছিল কুয়ালালামপুরের রাতের আকাশ।
মালয়েশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখো মানুষের জমায়েত এক অভূতপূর্ব আবহ তৈরি করে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
পনেরো মিনিট স্থায়ী আতশবাজির জন্য গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ১২টা বাজার ১০ সেকেন্ড আগে থেকে ‘কাউন্ট ডাউন’ শুরু হয়। ঠিক ১২টা ১ সেকেন্ডে আতশবাজির ঝলকানিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টুইন টাওয়ার প্রাঙ্গণ ও মারদেকা মাঠ। ক্ল্যাং ভ্যালির বিভিন্ন স্থানেও আরও আতশবাজি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে গোটা কুয়ালালামপুর, টুইন টাওয়ার এবং মারদেকা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশি টহল। শহরে প্রবেশকরা বাস ও ট্রেনগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়। মধ্যরাতে জমকালো আতশবাজির মাধ্যমে মালয়ানদের পাশাপাশি হাজারো প্রবাসী নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
এদিকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে নিরাপদে চলাফেরার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
এমআরএম/জেআইএম