সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে ফের ধর্ষণের শিকার হিন্দুরা। আজ ধর্ষণ হয়েছে ৪০ হাজার হিন্দু’ শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য সঠিক নয় এবং এটি মিথ্যা প্রচার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘বাংলাদেশে ফের ধর্ষণের শিকার হিন্দুরা। আজ ধর্ষণ হয়েছে ৪০ হাজার হিন্দু।’ শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ তাদের ফেসবুকে কোনো পোস্ট করেনি। বরং সম্পূর্ণ ভুয়া এই তথ্যের প্রচারে এবিপি আনন্দের নামে ভুয়া স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে এবিপি আনন্দের ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে ওই দাবি-সংবলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে এবিপির ওয়েবসাইটে গত ১৯ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, এবিপি আনন্দর নামে “ভুয়া পোস্ট” করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিকৃত প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায়’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘বাংলাদেশে ফের ধর্ষণের শিকার হিন্দুরা। আজ ধর্ষণ হয়েছে ৪০ হাজার হিন্দু’ শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে এবিপি আনন্দ তাদের ফেসবুকে কোনো পোস্ট করেনি। তাই ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটটি ভুয়া, বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, সুতরাং বাংলাদেশে ফের ধর্ষণের শিকার হিন্দুরা বা এক দিনে ধর্ষণ হয়েছে ৪০ হাজার হিন্দু, এমন তথ্য বা শিরোনামে এবিপি আনন্দ সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।