শিক্ষকের ধান কেটে নিলেন বিএনপি নেতা
বরগুনার আমতলীর ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদারের জমির ধান রাতের আঁধারে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক।
অভিযুক্তরা হলেন- আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে বাবা-মায়ের ৪ দশমিক ৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিন ভাই ভোগদখল করে আসছি।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে গেছে। পরের দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ওই শিক্ষক বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগ্নে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। তারা ধান নিয়েই খ্যান্ত হয়নি উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।