বাগানের ঘাস খাওয়ায় গরুর রগ কাটলো প্রতিবেশী

নীলফামারী সৈয়দপুরের কয়ানিজপাড়ায় বাগানের ঘাস খাওয়ায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গরুর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিবেশী। রোববার (২৩ নভেম্বর) গরুর মালিক ফারজানা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারজানার পালিত একটি গাভী ও বাছুর গত ২২ নভেম্বর সকালে খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া মাঠে ঘাস খাচ্ছিল। একপর্যায়ে কুকুরের ভয়ে ভীত হয়ে গরুগুলো রশি ছিড়ে পার্শ্ববর্তী কয়ানিজপাড়া এলাকার মোহাম্মদ জাকারিয়ার খোলা বাগানে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়া গরুগুলোকে আটকে রাখেন। পরে গরুর মালিক ফারজানা বিষয়টি জানতে পেরে গরু আনতে গেলে অভিযুক্ত জাকারিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। ভয়ে ফারজানা বাড়ি ফিরে যান এবং সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতি আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় গরু আনতে যান। এ সময় জাকারিয়া উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে গাভীটির পেছনের বা পায়ে সজোরে কোপ দেন। এতে গাভীটির পিছনের পায়ের রড় কেটে গুরুতর জখম হয় এবং সেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় গাভীটিকে ভ্যানে করে বাসায় নেওয়া হয় এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্

বাগানের ঘাস খাওয়ায় গরুর রগ কাটলো প্রতিবেশী

নীলফামারী সৈয়দপুরের কয়ানিজপাড়ায় বাগানের ঘাস খাওয়ায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গরুর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিবেশী। রোববার (২৩ নভেম্বর) গরুর মালিক ফারজানা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারজানার পালিত একটি গাভী ও বাছুর গত ২২ নভেম্বর সকালে খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া মাঠে ঘাস খাচ্ছিল। একপর্যায়ে কুকুরের ভয়ে ভীত হয়ে গরুগুলো রশি ছিড়ে পার্শ্ববর্তী কয়ানিজপাড়া এলাকার মোহাম্মদ জাকারিয়ার খোলা বাগানে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়া গরুগুলোকে আটকে রাখেন।

পরে গরুর মালিক ফারজানা বিষয়টি জানতে পেরে গরু আনতে গেলে অভিযুক্ত জাকারিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। ভয়ে ফারজানা বাড়ি ফিরে যান এবং সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতি আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় গরু আনতে যান।

এ সময় জাকারিয়া উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে গাভীটির পেছনের বা পায়ে সজোরে কোপ দেন। এতে গাভীটির পিছনের পায়ের রড় কেটে গুরুতর জখম হয় এবং সেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় গাভীটিকে ভ্যানে করে বাসায় নেওয়া হয় এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আব্দুল করিমের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফারজানা বলেন, অবলা প্রাণীটিকে হাসুয়া দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার অবস্থায় গরুটি ভালো নেই। গরুটির একটা বাছুর আছে, দুধ পান করতে পারছে না। গাভীর চিকিৎসা হচ্ছে তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে গাভীটি বাঁচবে। গাভী না বাঁচলে বাছুরটাও মারা যাবে। অবলা প্রাণীকে কোপানোর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

আমিরুল হক/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow