বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে একদিন বিরতির পর ফের জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্যরা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে তাঁবু টানিয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন তারা।
দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলছে। দুর্গাপূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, দুর্গাপূজা পর্যন্ত আমাদের নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হলে পূজার পরে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা মঙ্গলবার থেকে গণস্বাক্ষর শুরু করছি। স্বাক্ষর করার জন্য আমরা বাঁধাই করা বই তৈরি করেছি। এসব বই প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় পাঠানো হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গন মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী বর্তমান আসনের সীমানা: বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল।
পূর্বের আসন সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
নাহিদ ফরাজী/এমএন/এমএস