ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন আসন থেকে আসা প্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসন নিয়ে শুনানিতে তারা এ দাবি জানান।
তবে এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ এনসিপি। সংগঠনটির অভিযোগ, ইসি এনসিপির আবেদন পাত্তা দিচ্ছে না। ইসি একটি দলের হয়ে কাজ করছে।
শুনানি শেষে বাগেরহাট-৩ আসনের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। হঠাৎ করে ইসি আমাদের বলেছে চারটি আসন থাকবে না। একটি আসন বাদ দেওয়া বাগেরহাটবাসী মানে না। এটা অযৌক্তিক, আইন পরিপন্থী এবং বাস্তবসম্মত নয়। ইসির এ সিদ্ধান্ত জনস্বার্থের পরিপন্থী। সুতরাং আমরা ইসিকে অনুরোধ করবো তারা বাগেরহাটের একটি আসন নিয়ে যে খসড়া প্রস্তাবনা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করবে। আমরা চাই বাগেরহাট জেলায় যে চারটি আসন ছিল বাগেরহাট এক, দুই, তিন এবং চার পূর্বের মতো বহাল থাকবে এবং বাগেরহাটের জনগণ সেই বহাল চারটি আসনেই তাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
একই আসনের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। তারা সেটা না দিয়ে বাগেরহাটের জনগণের যে চারটি আসন ছিল। সেখান থেকে একটি আসন কমিয়েছে। আসন কমিয়ে বাগেরহাটবাসীর যে অধিকার সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। উনারা (নির্বাচন কমিশন) তাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব আছে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার লঙ্ঘন কিছুটা ঘটেছে। যদি এটা উনারা ঠিক করে দেন তাহলে আমরা বলবো যে সাংবিধানিক দায়িত্বে উনারা ব্যত্যয় ঘটাননি। আমরা এটাও বলেছি যে আর্টিকেল সেভেন অব দ্য কনস্টিটিউশন, আর্টিকেল ২৭ অব কনস্টিটিউশন জনগণের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। জুলাই বিপ্লবের স্পিড অনুযায়ী উনরা কাজ করবেন। আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের দিকে উনারা ঠেলে দেবেন না বা আমাদেরকে আদালতের দিকে ঠেলে দেবেন না। যাতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কোনোভাবে বিঘ্নিত হয়।
অপরদিকে, বাগেরহাট-৩ আসনের প্রতিনিধি হিসেবে আসা এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, সংসদীয় আসন নিয়ে রোববার আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করতে পারিনি। আজকেও কিন্তু আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারিনি। নির্বাচন কমিশন শুধু একটি দলের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে আমাদের। ভোটার হিসাবকে কেন্দ্র করে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমাদের যৌক্তিক বলে মনে হয় না।
এমওএস/এসএনআর/এমএস