বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর সেতু

2 hours ago 5

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল উজিরপুরের সেতুটি এখন আক্ষরিক অর্থে ‘ঝুলন্ত'’। সেতুটির নিচের তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটি গার্ডারেই দেখা দিয়েছে ফাটল। তবে যান চলাচল সচল রাখার জন্য সেতুটির নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেকা দিয়ে রেখেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যা নিয়ে যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।

স্থানীয়রা বলছেন, যে কোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকার সঙ্গে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ।

বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর সেতু

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল করে এই সেতুর ওপর দিয়ে। ফাটল ধরা গার্ডার ও অস্থায়ী বালুর বস্তার সাহায্যে চলা এই যান চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। তবে সেতুটির দুই প্রান্তে গতিরোধক স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

স্থানীয় ভ্যানচালক জুলহাস বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই এই সেতু তৈরি হয়েছিল। এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি। এখন সেতুর নিচের মাটি সরে গেছে, পাশে বড় গর্ত হয়েছে। ছোট গাড়ি গেলেও সেতু নড়ে ওঠে।

বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর সেতু

আরেক বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভারী যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর পরিদর্শন করেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে সাময়িকভাবে তারা গার্ডারের নিচে বালুর বস্তা ফেলেন।

বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর সেতু

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন খান বলেন, সেতুর দুই পাশের মাটি নদীর স্রোতে ক্ষয় হয়ে গেছে। ফলে গার্ডারে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই রুটে যানবাহনের চাপ বহুগুণ বেড়েছে। গার্ডারের অন্তত তিনটি স্থানে বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। আপাতত বালুর বস্তা ফেলে সেতুটি সচল রাখা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু হবে।

এইচআরএস/কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article