বাড়ি যাওয়ায় কওমি মাদরাসায় শিশুকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান

10 hours ago 4

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় কওমি মাদরসার এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদানের অভিযোগ উঠেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটি শিকলমুক্ত হয়।

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভূক্তভূগী শিশুর বাড়ি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। সে ওই মাদরাসার নাজেরা শাখার আবাসিক শিক্ষার্থী।

পরে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ইউএনও রেহেনা আক্তার ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, পুলিশ ও স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করেন।

মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ায় পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারই শিশুটির পায়ে শিকল পরানো হয়। পায়ে ব্যথা অনুভব করলেও শিকল খুলে দেওয়া হয়নি। এভাবেই চলছিল পাঠদান। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান।

মাদরাসাটির নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর বড় ভাই শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির একপায়ে শিকল পড়াতে হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকলমুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তেভোগী শিশুর বড় ভাই বলেন, মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। দুইবার মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। এ কারণে পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছিলাম। পরে শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মো. তরিকুল ইসলাম/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article