দিনাজপুরে গণশুনানিতে অংশ নিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী।
এ সময় বিআরটিএ’র দিনাজপুরের সহকারি পরিচালক এটিএম ময়নুল হাসানের কাছে তিনি জানতে জানতে চান- বিআরটিএ’র ৭ লাখ ৫০ হাজার লাইসেন্স প্রিন্টের অপেক্ষায় কেন?
এমন প্রশ্নে এটিএম ময়নুল হাসান বলেন, একটি ভারতীয় কোম্পানি বিআরটিএ’র লাইসেন্স প্রিন্টের দায়িত্বে রয়েছে। সেই কোম্পানির সদস্যরা পলাতক সে কারণে প্রিন্ট হচ্ছে না। এখনও নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্রিয়া চলমান।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের গণশুনানিতে অংশ নেন মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী।
গণশুনানিতে বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে অস্পষ্ট লাইসেন্স সরবরাহের কারণে জরিমানা দেওয়া এক ব্যক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গণশুনানির রেফারেন্স দিয়ে প্রধান কার্যালয়ে চিঠি প্রেরণের জন্য সহকারি পরিচালককে আদেশ দেন দুদকের কমিশনার। এ সময় বিআরটিএকে আরও কিছু অভিযোগের কথা শুনে সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য চিঠি লিখতে আদেশ দেন তিনি।
এ ছাড়াও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, দালালদের দৌরাত্ম্য, রোগ পরীক্ষা বাণিজ্য, রোগীদের জিম্মি করে ওয়ার্ড বয়দের টাকা নেয়ার বিষয়গুলো সমাধানের জন্য পরিচালককে আদেশ দেওয়া হয়।
গণশুনানিতে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ল্যাব টেকনিশিয়ান পরপর দুইবার বদলি হওয়ার পরও যোগদান না করে কীভাবে বহাল আছেন তার ব্যাখ্যা চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ ফেরদৌস বলেন, আমার হাতে বদলি করার ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজির সঙ্গে কথা হলে, তিনি বলেছেন আমাদের লোকবল কম, মানিয়ে নিয়ে চালিয়ে নিতে।
পরে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী ওই টেকনিশিয়ানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধানের আদেশ দেন।
দিনাজপুর জেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে আইডি কার্ড প্রদানে হয়রানি, একই নামে দুটি আইডি কার্ড, ভোটার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুদক কমিশনার সমস্যাগুলো ৩দিনের মধ্যে সমাধানের আদেশ দেন। একইসঙ্গে জন্ম তারিখ সংশোধন না করা, রোহিঙ্গারা যেন ভোটার হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা এবং দ্বৈত ভোটার করার আদেশ দেন।
পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দালালদের নিয়ে শুনানিতে দুদক কমিশনার যাচাই প্রক্রিয়ার সহজি করণের পরামর্শ দেন।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ দিনাজপুর হাউজিং এস্টেটের কর্মকর্তা রায়হানের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শুনানি শেষে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ওই কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করে টাকা আদায় করে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন।
নেসকো, দিনাজপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১ ও ২ এর ভুয়া মিটার রিডিং, অযৌক্তিক বিলসহ বিভিন্ন হয়রানির যে অভিযোগ রয়েছে তা তিন দিনের মধ্যে সমাধানের আদেশ দেন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ও দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসেন।
এমদাদুল হক মিলন/এনএইচআর/এমএস

1 hour ago
3









English (US) ·