জমে ওঠেনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুরহাট আলামপুর। শনিবার হাটবারেও ক্রেতা সমাগম কমছিল। ফলে বিক্রি হয়নি আশানুরূপ। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে খামারি ও ব্যবসায়ীদের।
পশুরহাট কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়ার আলামপুর হাটের পরিচিতি রয়েয়ে দেশজোড়া। এ হাট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোরবানির পশু ঢাকার ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। এবার এ হাটে দূরের ক্রেতা মিলছে না। বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাটে আসা ৯০ ভাগ গরু-ছাগলই অবিক্রিত ছিল।
মোহাম্মদ আলী খা এক বিক্রেতা বলেন, ‘গরুতে এবার সবই লস। টাকা ঘুরবে না কারোরই। বাজারের অবস্থা খুবই দুর্বল। আগে যা গরু টানছিল (বিক্রি হচ্ছিল) এখন টানছেই না। খাদ্যের দাম বেশি হলেও গরুর দাম কম। এবার অনেকের আসলই ঘুরবে (উঠবে) না।’
আরেক বিক্রেতা মাহবুব বলেন, ‘একদমই কেনাবেচা নাই। আজকের যে হাট, এ গরু এতক্ষণে অর্ধেক চলে যাবি। কিন্তু দেখছেন না গরুতে হাট ভরা।’
গরুর দাম কমার কারণ হিসেবে এ কৃষক দায়ী করেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। তিনি বলেন, ‘নানান কথা মানুষের মধ্যে শোনা যায়। অনেকে ভয়ভীতিতেও হাটে আসছে না। ঢাকার ব্যাপারী এবার খুবই কম।’
রিয়াজ নামে এক ব্যাপারী জানান, ‘বাজার ঠিক হবে কিছুটা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে গরু কেনাবেচা শুরু হলে দাম বাড়বে স্থানীয় বাজারেও। ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো দরকার।’
আল-মামুন সাগর/আরএইচ