মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে দিনাজপুরে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পতাকা বিক্রেতারা শহর ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বেলকনি, গাড়ি, রিকশা, এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। ফেরি করে এসব পতাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
কথা হয় বরিশাল থেকে আসা মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা মো. সাগরের (৩৭) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বছরের অন্য সময় যখন যে কাজ পাই তখন সেই কাজ করি। এইটা বিজয়ের মাস। এ মাসে সবাই পতাকা কেনে, ব্যবসাও ভালো হয়। তাই এ মাসে পতাকা বিক্রি করি।’
আরেক পতাকা বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন (৪৮)। তিনি শরীয়তপুর থেকে এসেছেন। গতবছর পতাকা বিক্রি করেছেন রংপুরে। দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দেখা হয় তার সঙ্গে।
ইসমাইল হোসেন জানান, পেশায় তিনি ইলিশ মাছ বিক্রেতা। কিন্তু প্রতিবছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে নতুন নতুন জেলায় জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েন। এতে তার আয় হয়, তেমনি নতুন নতুন এলাকা দেখা হয়। এরইমধ্যে ২৮টি জেলা ঘুরেছেন।
পাঁচজনের একটি দল নিয়ে পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন শরীয়তপুরের আবুবক্কর (৫৫)। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার মতো কমপক্ষে ২০টি দল এসেছে। যাদের প্রত্যেকের দলে কমপক্ষে পাঁচজন করে সদস্য রয়েছেন। গতবছর তারা থাকা-খাওয়া সব খরচ বাদ দিয়ে সাতদিনে পতাকা বিক্রি করে একেকজন ২৫ হাজার টাকা করে ভাগে পেয়েছিলেন। এবার যেহেতু নতুন প্রেক্ষাপট, তাই পতাকা বেশি বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
গোর-এ শহীদ ময়দানে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছে শিশু আরতি রায়। সে কপালে বাঁধার জন্য ৪০ টাকা দিয়ে দুটি পতাকা কেনে। একটি নিজে মাথায় বেঁধে অন্যটি বন্ধুকে দেয় কপালে বাঁধতে।
কয়েকজন বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকারভেদে ১০, ২০ এমনকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একেকটি পতাকা। কাগজের ছোট পতাকাসহ বিভিন্ন সাইজের পতাকাও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জিকেএস