ময়মনসিংহের নান্দাইলে কলেজছাত্র মুরাদ হাসান (১৭) হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল আলম হামিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা।
বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আশরাফুল আলম হামিম একই উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা।
নিহত মুরাদ নান্দাইল পৌসভার কাকচর মহল্লার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম চেষ্টা চালাচ্ছিল। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হামিম বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এ অবস্থায় কাতার যাওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানবন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে থানায় নিয়ে আসার কাজ প্রক্রিয়াধীন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গতবছরের গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন কলেজছাত্র মুরাদসহ অনেকেই। এসময় তাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা। এসময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাকারীদের মারধরসহ ধাওয়া দেন।
একপর্যায়ে তারা স্থানীয় চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের কিনারায় নিয়ে মুরাদসহ অনেককেই লাঠিসোঁঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এসময় অন্যরা পালিয়ে রক্ষা পেলেও মুরাদ মাটিতে পড়ে যান। তখন ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম ক্ষুব্ধ হয়ে মুরাদের বুকের ওপর উঠে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মারা যান মুরাদ। এ ঘটনায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা করে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/জেআইএম