ভারতের বিহারে ২০১২ সালে হয়েছিল প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় আসরও হওয়ার কথা ছিল ওই দেশটিতে। তারিখ ছিল ৩ থেকে ১৩ আগস্ট। তবে হঠাৎ করেই বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যায়। বাংলাদেশ জাতীয় দল অবশ্য অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আয়োজক হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত নারীদের বিশ্বকাপ কাবাডির দ্বিতীয় আসর বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আগামী ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে এই আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার ও স্বাগতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এছাড়া স্ট্যান্ডবাই দল হিসেবে রয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম, কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি আইজিপি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়াম সরকারকে বরাদ্দ দিয়েছে। বিদেশি দলগুলোর আগমন, প্রস্থান, নিরাপত্তা, আবাসন ও স্থানীয় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম নারীদের বিশ্বকাপ হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নারীরা খেলবে। তাই বিষয়টা অনেক সেনসেটিভ। নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করবো।’
বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘সরকারের যথেষ্ট সাপোর্ট আছে। সার্বিক বিষয়ে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি জানান, বিশ্বকাপের বাজেট ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সরকারের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে এবং বাকি টাকা স্পন্সর থেকে জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। সাধারণ সম্পাদক আশা করছেন সফলভাবে বিশ্বকাপ শেষ করে কাবাডি ফেডারেশনের ফান্ড বাড়ানো সম্ভব হবে।
বিশ্বকাপ আসরের ম্যাটে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল বর্তমানে বিকেএসপিতে নিবিড় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘কাবাডির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। দুই অথবা তিনে যাওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। আমরা যেন সে জায়গায় যেতে পারি সে চেষ্টাই থাকবে।’
আরআই/আইএইচএস/