বিশ্বজুড়ে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা, নজর থাকবে বাংলাদেশ-ভারতে

২০২৬ সালে বিশ্বজুড়ে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। বৈশ্বিক হিসাবে দেখা যায়, মোট স্বাদুপানির প্রায় ৬০ শতাংশই এক দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে প্রবাহিত হয়। অথচ এসব পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। আবার যেসব চুক্তি রয়েছে, সেখানেও বিরোধ ও টানাপোড়েন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ২০২৬ সালে যদি এসব পানিবণ্টন চুক্তি ভেঙে পড়ে, তার প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে উত্তেজনার লক্ষণ দেখা গেছে। ১৯৪৪ সালের একটি চুক্তির আওতায় সরবরাহসংক্রান্ত দায়বদ্ধতা আদায়ে চাপ দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় পানির প্রবাহ সীমিত করেছেন। মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরেই খরার সঙ্গে লড়ছে। এটি দেখিয়ে দিচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে পানিকে কেন্দ্র করে আন্তঃসীমান্ত বিরোধ আরও তীব্র করে তুলছে। আমেরিকার মতো মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিও জটিল। গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে পানিসরবরাহ-সংক্রান্ত সমঝোতাগুলো এখন অনিশ্চয়তার মুখে। আরও পড়ুন>>তিস্তা পানিবণ্টন সমস্যার সমাধানে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকারজেআরসির কা

বিশ্বজুড়ে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা, নজর থাকবে বাংলাদেশ-ভারতে

২০২৬ সালে বিশ্বজুড়ে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। বৈশ্বিক হিসাবে দেখা যায়, মোট স্বাদুপানির প্রায় ৬০ শতাংশই এক দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে প্রবাহিত হয়। অথচ এসব পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। আবার যেসব চুক্তি রয়েছে, সেখানেও বিরোধ ও টানাপোড়েন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

২০২৬ সালে যদি এসব পানিবণ্টন চুক্তি ভেঙে পড়ে, তার প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে উত্তেজনার লক্ষণ দেখা গেছে। ১৯৪৪ সালের একটি চুক্তির আওতায় সরবরাহসংক্রান্ত দায়বদ্ধতা আদায়ে চাপ দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় পানির প্রবাহ সীমিত করেছেন। মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরেই খরার সঙ্গে লড়ছে। এটি দেখিয়ে দিচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে পানিকে কেন্দ্র করে আন্তঃসীমান্ত বিরোধ আরও তীব্র করে তুলছে।

আমেরিকার মতো মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিও জটিল। গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে পানিসরবরাহ-সংক্রান্ত সমঝোতাগুলো এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

আরও পড়ুন>>
তিস্তা পানিবণ্টন সমস্যার সমাধানে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার
জেআরসির কাঠামোর মধ্যেই পানিবণ্টন আলোচনা চলবে: বিক্রম মিশ্রি
পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে, ফারাক্কা পরিদর্শন শেষে আবুল হোসেন
গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে মমতার অভিযোগ খারিজ মোদী সরকারের

তবে ২০২৬ সালে সবচেয়ে বড় উত্তপ্ত অঞ্চল হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, ফলে এর নবায়ন নিয়ে দৃষ্টি থাকবে সবার। গঙ্গার পানি সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ আরও বেশি পানি প্রত্যাশা করে। কিন্তু ভারত এই দাবিতে সহযোগিতা করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এরই মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক নানা কারণে চাপে রয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পানিবণ্টন চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ভারত যে পানি ও রাজনীতিকে একসূত্রে গাঁথতে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট করেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের দিক থেকে পানিপ্রবাহ কমে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তার বড় প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে বস্ত্রশিল্প ও কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য হবে গুরুতর ধাক্কা। ফলে নতুন বছরে বাংলাদেশ-ভারত পানিবণ্টন চুক্তি কেবল কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও মানবিক দিক থেকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে যাচ্ছে।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow