বিশ্বযুদ্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়া জাপানের সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মারা গেছেন

1 hour ago 3

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তমিচি মুরায়ামা। তার সেই বক্তব্য পরবর্তীতে জাপানের যুদ্ধ-সংক্রান্ত ক্ষমাপ্রার্থনার মানদণ্ড হয়ে ওঠে। ১০১ বছর বয়সে সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মারা গেছেন। 

শুক্রবার বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে জন্মস্থান ওইতা শহরের হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। খবর এএফপির।

মুরায়ামা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চান। তিনি জাপানের সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত জোট সরকারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও অংশ নেয়। ওই ঘটনা জাপানের রাজনৈতিক শক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।

মুরায়ামা ১৯৪৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাপানি সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে যোগ দেন। ওই সময় তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধের শেষ দিকে খাদ্যের অভাব ছিল তীব্র, অস্ত্রও প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছিল। আমাদের হাতে বাঁশের তৈরি অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। তখনই মনে হয়েছিল, এই অবস্থায় যুদ্ধ চালানো অসম্ভব।

প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৯৫ সালের আগস্টে জাপানের আত্মসমর্পণের ৫০ বছর পূর্তিতে মুরায়ামা সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যটি দেন। তিনি বলেন, জাপান তার ঔপনিবেশিক শাসন আর আগ্রাসনের মাধ্যমে অনেক দেশের, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের বিরাট ক্ষতি ও দুঃখের কারণ হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। আমি বিনীতভাবে এই ঐতিহাসিক সত্যগুলো স্বীকার করছি। আবারও গভীর অনুতাপ প্রকাশ করছি এবং আন্তরিক ক্ষমা চাইছি। 

পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৬০তম এবং ৭০তম বার্ষিকীতে জাপানি প্রধানমন্ত্রীরা ‘গভীর অনুতাপ’ ও ‘আন্তরিক ক্ষমা’ শব্দগুলো ব্যবহার করেন।

Read Entire Article