বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকের দোষ স্বীকার

7 hours ago 8

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রেমিকা শ্যামলী খাতুনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় প্রেমিক সুজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা রেলওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ মামলার তদন্তাকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মেয়েটা তালাকপ্রাপ্ত। তাদের দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অলিখিতভাবে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। মাঝে কিছুদিন তারা আলাদা ছিল। তাদের মধ্যে একজন আরেকটি সম্পর্কে জড়ায়। আসামির কাছ থেকে অনেক টাকা-পয়সা নিয়েছে। ক্ষোভে খুন করেছে। আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করি। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মো. সুজন তার কথিত প্রেমিকা শ্যামলী খাতুনকে ধারালো চাকু দিয়ে মুখমণ্ডল ও গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে পালানোর সময় ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক সুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের তার ভাই মিজানুর রহমান রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে, আসামি সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় শ্যামলীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শ্যামলী তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ও অন্য কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে মর্মে শ্যামলীর প্রতি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এমআইএন/এমআইএইচএস

Read Entire Article