বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সাংবাদিকদের সংগঠন বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির (বুটেক্সসাস) নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠন দশম বছরে পদার্পণ করেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার রুমে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার বিভাগীয় প্রধাম (অনলাইন) পলাশ মাহমুদ, আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. এনায়েত হোসেন এবং কেমডর্ফ গ্রুপ ও ডিআইডিএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম দেওয়ান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও বুটেক্সসাসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানটি বিকেল ৩টায় কোরআন ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিবাচক দিক ও সমিতির জন্য দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন। তারপর সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা মুক্তির বারতা ৩.০ বিজয়ীদের ও বুটেক্সসাসের বেস্ট পারফর্মার সদস্যদের বিভিন্ন সেগমেন্টে পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে কেক কাটা ও আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
বুটেক্সসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপরিচিত করতে সাংবাদিক সমিতির অনেক অবদান রয়েছে। আমি উপদেষ্টা হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি সাংবাদিক সমিতি সর্বদা ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছে। সাংবাদিক সমিতি তাদের বস্তুনিষ্ঠ কাজের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করছি।
দৈনিক কালবেলার বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন) পলাশ মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন ক্যারিয়ার গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যেটির একটি হতে পারে সাংবাদিকতা। আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের উচিত ইতিবাচক নিউজগুলো বেশি প্রচার করা। বুটেক্সে অনিয়মগুলো লেখার পাশাপাশি ভালো জিনিসও তুলে ধরতে হবে।
বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতার মতো কষ্টসাধ্য কাজ যারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন তাদের অভিনন্দন। আমি আশা করব দশম বছরে সাংবাদিক সমিতির আরো উন্নতি হবে। আগে বাইরের মানুষ বুটেক্স না চিনলেও এখন অনেকেই চিনে যেখানে বুটেক্সের সাংবাদিকদের অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রচলিত সংবাদের পাশাপাশি ফাইবার, মেশিনারিজ ও মার্চেন্ডাইজিং নিয়েও সাংবাদিকতা করা প্রয়োজন। আমাদের কি নাই সেটির চেয়ে কীভাবে আমরা সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি সেটি নিয়ে লেখালেখি হওয়া দরকার। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ লাভ করবে।
বুটেক্সসাসের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস যখন কেউই চিনত না, আমাদের এ সংগঠন প্রথম দিকে অনেক বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে ৩০টির অধিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সমিতির সদস্যরা যুক্ত রয়েছে এবং কিছু সদস্য দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় যুক্ত রয়েছে। আমরা কখনোই চাইনা আমাদের নিউজের মাধ্যমে কারোর ব্যক্তিগত সমস্যা সৃষ্টি হোক এবং কারোর সাথে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে খারাপ সম্পর্ক হয়ে যাক। বুটেক্সসহ টেক্সটাইল সেক্টরের অনেককিছুতেই আমরা অবদান রাখছি। আশা করি সামনেও আমাদের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করব।
উল্লেখ্য, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান, তথ্য প্রদান এবং গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা আয়োজনের প্রচারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।