সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে, জামাই, নাতনিসহ চারজনের নামে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত ফাতেমা বেগম কালিগঞ্জ উপজেলার কাকশিয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাকশিয়ালী গ্রামে ফাতেমা বেগমকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তার বোন সেলিনা বেগম উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
- আরও পড়ুন
- রাঙ্গামাটিতে ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- বরগুনার এতিম সেই দুই শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব নিলো জামায়াত
- কাদের সিদ্দিকীর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ
স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তার মেয়ে খালেদা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। রোববার বিকেলে খালেদা তার স্বামী আফজাল, মেয়ে সাজেদা, সুমাইয়া ও ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে যান। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে ফাতেমা বেগমকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকেন। পরে তাকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ফাতেমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত তার জীবন রক্ষা করা যায়নি।
এই ঘটনায় নিহতের বোন সেলিনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কালিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নিহতের মেয়ে খালেদা, জামাই আফজাল ও দুই নাতনিকে আসামি করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ হত্যাকাণ্ডে পুরো গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/জিকেএস