যশোরের বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্যসহ একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভবেরবেড় ট্রাক টার্মিনালের সামনে থেকে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়। এসময় আটক করা হয় চালক ও হেলপারকে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির প্রেস নোটে এসব তথ্য জানানো হয়।
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি পিস, ওষুধ, মোটরসাইকেলের টায়ার এবং কসমেটিক্স সামগ্রী। কাভার্ডভ্যানসহ যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- মাগুরা সদর থানার হাজী কলেজ পাড়া এলাকার নাদের মোল্যার ছেলে আব্দুল মালেক (৪৬) ও হেলপার একই থানার শিবরামপুর পাড়া এলাকার সুশান্ত কর্মকারের ছেলে অন্তর কর্মকার (২৯)।
বিজিবি জানায়, চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য পাচার রোধে বিজিবির একটি বিশেষ দল অভিযান চালায়। এসময় ভবেরবেড় ট্রাক টার্মিনালের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে থামানো হয়। পরে সেটি তল্লাশি করে দেখা যায়, ১৪৭৪টি ভারতীয় শাড়ি, ২১৫টি থ্রি পিস, দুটি মোটরসাইকেলের টায়ার, ১০ হাজার ৬৯৩টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ৭৪ হাজার ৪৫৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী রয়েছে। মালামালের কোনো মালিকানা না থাকায় চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়।
আটক চালক ও হেলপারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজগ্রামের মো. বাবুলের মো. বিল্লাল ২০ হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে এসব মালামাল বেনাপোল থেকে ঢাকার মিপরপুরে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, আসন্ন দূর্গা পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি পিচ, ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী পাচারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব পণ্য পাচার রোধে বিজিবির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, বেনাপোলের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, জব্দকৃত মালামাল বন্দর থেকেই লোড করা হয়েছিল। একটি চোরাচালান সিন্ডিকেট বৈধ পণ্যের আড়ালে এসব অবৈধ মালামাল বন্দরের শেডে এনে রাখে এবং পরে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে।
মো. জামাল হোসেন/কেএইচকে/এমএস