সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে সুইজারল্যান্ডে এক অতি ধনী চালককে ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকারও বেশি।
বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী, ওই চালক লোজান শহরের একটি রাস্তায় গতিসীমা অতিক্রম করে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) বেশি গতিতে গাড়ি চালানোয় এই জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন।
কেন এত বড় জরিমানা?
জানা গেছে, ওই চালক সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি গতিসীমা লঙ্ঘনের এ ধরনের অপরাধ বারবার করে আসছেন। ওই অঞ্চলে ব্যক্তির আয়, সম্পদ ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে জরিমানা নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন>>
সেখানকার বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, দরিদ্র্য কেউ এই অপরাধ করলে জরিমানার বদলে এক রাতের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়, আর অতি ধনী চালকদের ক্ষেত্রে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ থেকে শুরু করে মোটা জরিমানা গুণতে হয়।
সম্প্রতি এই অঞ্চলের একটি আদালত রায় দিয়েছেন, গতিসীমা লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রথমে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (১২ হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা গুণতে হবে এবং পরবর্তী তিন বছরে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে আরও ৮০ হাজার ফ্রাঁ জরিমানা হতে পারে।
সুইস সংবাদপত্র টুয়েন্টি ফোর হিউয়ারস প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চালক একজন ফরাসি নাগরিক, সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ৩০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম এবং তার শত মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
পুলিশের স্বয়ংক্রিয় রাডার ওই চালককে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গতিসীমার রাস্তায় ৭৭ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে শনাক্ত করেছে। এরপরই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ জরিমানা হিসাব করা হয়।
ভৌদ অঞ্চলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র ভিনসেন্ট ডেরৌয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাননি। ঘটনা ঘটেছে গত বছরের আগস্টে এবং চলতি বছরের জুনে জরিমানার রায় দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই চালককে আট বছর আগেও একই ধরনের অপরাধের জন্য ১০ হাজার ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডে গতিসীমা লঙ্ঘনের জরিমানা সবার জন্যই কঠোর, এমনকি পুলিশের জন্যও। ২০১৬ সালে জেনেভা শহরের এক পুলিশকর্মী চোর ধারার প্রায় দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা গুণেছিলেন।
সূত্র: ইউএনবি
কেএএ/