রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও বেশকিছু সবজির দাম। এছাড়া চাল, ডাল, মাছ ও মাংস আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিহালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, সজনের দাম কমে ৯০-১০০ টাকা, পটোল ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে ৬০-৭০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৩০-৩৫ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, আদা ১৪০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজ বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে দুই-একটা সবজির দাম কমলেও অধিকাংশ সবজি অপরিবর্তিত আছে। তবে কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ায় দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালী মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের ডিম বিক্রেতা হেলাল মিয়া জানান, ‘গত সপ্তাহে ৪৬ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এর নিচে ডিম বিক্রি হচ্ছে না।’
ওই বাজারে ডিম কিনতে আসা সেনপাড়ার অপু বলেন, ‘সপ্তাহে ৪৬ টাকা হালি কিনেছি। আজ ৪৮ টাকার কম হচ্ছে না। বাসায় প্রতিদিন ডিম লাগে। এ অবস্থায় দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্য ও নিম্নবিত্তদের জন্য ডিম কেনা কষ্টকর হবে।’
বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, ছোলাবুট ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আগের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৮০-৮৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইলের দাম কমে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/আরএইচ/এমএস