বৈরী আবহাওয়াও আটকাতে পারেনি তাদের
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত জারি থাকা সত্ত্বেও কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় করেছেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় ঢেউয়ের তালে দুলে গোসলে মগ্ন বিভিন্ন বয়সের পর্যটকরা। কেউ কেউ বেঞ্চে বসে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ উপভোগ করছেন। শিশুরা ঘোড়ায় চড়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ মোটরসাইকেলে করে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঝিনুক আচার ব্যবসায়ী মহিবুল্লাহ বলেন, কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া খারাপ যাচ্ছে। এর মধ্যেও বেশ ভালো পর্যটক আছেন। আমাদের বিক্রিও মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নিলয় বলেন, সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ, তাই গোসলের মজাই অন্যরকম। ঢেউয়ে ভেসে থাকার যে আনন্দ, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
পিরোজপুর থেকে আসা দম্পতি রাহুল ও সায়মা বলেন, আমরা জানি সমুদ্র উত্তাল। তবুও ঢেউয়ের টানে সৈকতে নামতেই হলো। তবে আমরা সতর্ক আছি, গভীরে যাচ্ছি না।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা নিয়মিত সতর্ক করছি। তারপরও অনেকেই নির্দেশনা মানছেন না। বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে নামা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যান্ড ফুলিয়াস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী বলেন, বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ হোটেল বুকিং রয়েছে। কোনো কোনো হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি পর্যটক এসেছে। মূলত বর্ষার সময় সমুদ্র উত্তল থাকে তাই বড় বড় ঢেউ উপভোগ করার জন্যই পর্যটকরা কুয়াকাটায় এসেছেন।