বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা সিএমএইচে চিকিৎসারত আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহতদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেন। তিনি আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এসময় সিএমএইচের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কম্যান্ডেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের এমওআইসি লে. কর্নেল কাজী সবরান উদ্দিন আহম্মদসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, আমরা জাতি হিসেবে এই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের কাছে কৃতজ্ঞ। অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে বিশেষ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাদের আত্মত্যাগ ও অবদান সবসময় স্মরণে রাখতে হবে। আহত অনেকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আহতদের দেশের বাইরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে সরকার।
পাশাপাশি তিনি বলেন, চিকিৎসা প্রদান শেষ হলে তাদের কর্মসংস্থানসহ পুনর্বাসনের বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। সরকারের পাশাপাশি সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে বর্তমানে ৩৩ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।