বৈষম্যবিরোধীর নেতাদের নামে গণঅধিকার পরিষদ নেতার মামলা

4 hours ago 5

খুলনার শান্তিধাম মোড় সংলগ্ন পঞ্চবীথি ক্লাবের দখল উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে খুলনা সদর থানায় শেখ রাশিদুল ইসলাম মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, নাজমুল হোসেন, মহররম মাহীম, শেখ রাফসান জানি ও রুমি রহমান। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সরকারি ভবনে পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু অব্যাহতির পরেও রাশিদুল ইসলাম ওই ভবনে বসেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সম্প্রতি সেখানে তাদের আরও কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড টানানো হয়। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে ভবনটির দখল উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে বার্তা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনার নেতাকর্মীরা। রাত ৯টার দিকে তারা ভবন উদ্ধার করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় কয়েকজন আহত হন।

গণঅধিকার পরিষদের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম জানান, ক্লাবের নামে ভবনটিতে জুয়া খেলা, মাদক সেবন ও বিক্রিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলত। আমরা ভবনটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। এরইমধ্যে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আমাকেসহ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। যার দরুন ন্যায়বিচার পেতে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

তিনি জানান, তিনি নির্দোষ হওয়ায় কয়েকদিন পরে তার অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে রাশিদুলের অভিযোগ অস্বীকার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি জানান, গণঅধিকার পরিষদের নামে কিছু চাঁদাবাজ ও দখলদার গোষ্ঠী ক্লাবটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। ক্লাবটির দখল ছেড়ে দিতে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ছাত্রদের ওপর হামলা চালাতে দেখে স্থানীয়রা গণঅধিকার পরিষদের লোকজনকে ধাওয়া দেয়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর ক্লাবটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আহত একজন মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

মো. আরিফুর রহমান/এমএন/এমএস

Read Entire Article