ব্যাংকে বেড়েছে নারী কর্মীর সংখ্যা

6 hours ago 6

দেশের অন্যান্য পেশার মতো আর্থিক খাতেও নারীরা তাদের প্রতিভার সাক্ষর রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। দিন দিন কর্মক্ষেত্রে তাদের পদচারণা বাড়ছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতের মোট কর্মীর ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। ব্যাংকের মোট কর্মী ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ বাড়লেও নারী কর্মী সংখ্যা বেড়েছে ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, ভালো পরিবেশ, স্ট্যান্ডার্ড বেতন কাঠামো, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ নানা সুবিধা থাকায় ব্যাংকের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন নারীরা। কমবেশি সব চাকরিতে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দিন দিন সেবা খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। তারা কাজও করছেন সুনামের সঙ্গে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, দেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ওপর ভর করে ব্যাংক খাতে মোট নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩ সালে ব্যাংক খাতের মোট নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন। ২০২৪ সাল শেষে নারীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬৪৯ জনে। সেই হিসাবে এক বছরে নারী কর্মী বৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর একই সময়ে ব্যাংকের মোট কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৯৬ জন থেকে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৪৫ জনে।

প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে ব্যাংক খাতের প্রারম্ভিক পর্যায়ে কাজ করছেন, এমন নারীর সংখ্যা ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ে রয়েছেন ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে নারী কর্মীর অংশগ্রহণ ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ব্যাংকে তিনস্তরে নারী কর্মীর অংশগ্রহণে এ সংখ্যা গত তিন বছরে ধারাবাহিক বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংকের বোর্ড বা পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়ে ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে এ হার ছিল ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

কর্মস্থলে নারীর কর্মপরিবেশ তৈরিতে দেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কিছু শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। কর্মজীবী নারী যাতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য ১৯৯১ সালে সরকারিভাবে প্রথমবার ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়। বেসরকারি মালিকানায় বেশকিছু ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে উঠেছে। সব বাধা পেরিয়েই নারীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। অবদান রাখছেন ব্যাংক-আর্থিক খাতসহ সার্বিক উন্নয়নে।

ইএআর/এমএএইচ/

Read Entire Article