ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (০১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন আলমগীর হোসেন, সোলেমান , সোহরাব হোসেন, রাসেল মিয়া, রফিক, দুলাল মিয়া, সনি মিয়া , রাসেল মিয়,সামীর মিয়া, ইসমাইল হোসেন, ইমরান হোসেন, হক মিয়া, মাসুদ মিয়া, শাহিন মিয়া, লালু মিয়া, রাব্বি মিয়া, হোসেন মিয়া, শাহপরান, শাহজালাল, শাহিন মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকারের বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাড়ির বিরোধ চলছিল। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই মাস আগেও দুগ্রুপের মধ্যে সংঘষের ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়।
সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার জানান, দীর্ঘ ২ মাস ধরে সুলতান মাস্টারের লোকজন রাতের বেলা আমাদের বাড়িঘর ও লোকজনের ওপর হামলা করার চেষ্টা করতেছে। আজ ফজর নামাজের সময় হঠাৎ সুলতান মাস্টারের লোকজন হামলা করে। আমরা নিজেদের রক্ষা করতে তাদের ধাওয়া করি। এ সময় আমাদের লোকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন জানান, মাস দেড়েক আগে আমাদের ওপর হামলা করেছিল মতি ও তার লোকজন। ওই সময় আমার অনেক লোকজন আহত হয়েছিলেন এবং তারপর থেকে আমরা গ্রামে যেতে পারছি না। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আমরা গ্রামের বাড়িতে গেলে বুধবার ভোরে মতির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। এতে অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, শান্তিপুর গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। আহতরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনোপক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। এমন কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।