সময় গড়িয়েছে। গড়াচ্ছে বেশ। কিন্তু সাদা বলে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের করুণ অবস্থা কাটছে না কিছুতেই। ২০ ওভারের ফরম্যাটে যেন একটা ‘শনির দশা’ পেয়েছে টিম বাংলাদেশকে।
অবশ্য ইদানীং শুধু এক ফরম্যাটই নয়। হোক তা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি; সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের টিম পারফরম্যান্স নিম্নগামী।
কতটা নিচের দিকে? তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো, আইসিসির সহযোগি সদস্য এবং র্যাঙ্কিংয়ে বহুদূর পিছিয়ে থাকা আরব আমিরাতের কাছে ৩ ম্যাচের সিরিজে হেরে যাওয়া।
শারজায় হওয়া ৩ ম্যাচের প্রথমটিতে ২৭ রানে জিতলেও পরের ২ খেলায় বাংলাদেশ আর পারেনি। যথাক্রমে ২ আর ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে বসেছে।
কখনো কখনো বড় দলও ছোট দলের কাছে হারে। বাংলাদেশেরও নেপাল আর হংকংয়ের কাছে হারের রেকর্ড আছে। কিন্তু তাই বলে আরব আমিরাতের কাছে এক সিরিজে দুই ম্যাচ হারা বা সিরিজ হাতছাড়া, মেনে নেয়া কঠিন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, এ পরাজয় যারপরনাই হতাশার। এ ব্যর্থতার কোনো অজুহাত নেই। তার ভাষায়, ‘আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হার, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা হতে পারে না।’
এমন ব্যর্থতার পর অনেকেরই সন্দেহ বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ক্রান্তিকালে উপনীত। একটা বড় ধরনের সংকট এসে গ্রাস করেছে। এমন অবস্থা টিম বাংলাদেশের জন্য রীতিমত ‘শঙ্কার’।
তবে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান ইফতিখার রহমান মিঠু তেমনটা মনে করেন না। তার অনুভব-তামিম, সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর মতো চার সিনিয়র ক্রিকেটার এবং প্রতিষ্ঠিত পারফরমার না থাকার কারণে একটা শূন্যতা দেখা দিয়েছে। তাদের মানের পারফরমারের অভাবে শক্তির তারতম্য ঘটেছে। কিছু ঘাটতির জায়গাও তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থা থাকবে না।
বিসিবি মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যানের কথা, ‘অ্যালার্মিং (শঙ্কার) তো পরের কথা। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার জন্য। আপনাদের বুঝতে হবে যে, এই মুহূর্তে আমাদের দলটা নতুন। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার চলে যাওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিভা আছে। আগেও বলেছি, অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে। আমার মনে হয় আমরা যে পর্যায়ে আছি, আমাদের কেবল উন্নতিই হবে।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম