ভারত-পাকিস্তানেও নেপালের মতো গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়। তাদের মতে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতায় নেপালের তরুণদের বিদ্রোহ পুরো অঞ্চলের জন্য নতুন বার্তা বহন করছে। এমনকি ভারত বা পাকিস্তানেও একই ধরনের গণঅভ্যুত্থান ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নেপালের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী জেনজিরা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সফলতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশর তরুণরা এখন পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক মডেল। নেপালে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, ফলে অস্থিতিশীল সরকার গড়ে ওঠে এবং সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয় না। আজকের অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ সেই পিআর পদ্ধতি।
তিনি আরও বলেন, জিওপলিটিকাল সিচুয়েশন যে যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে, সে ততটাই স্থিতিশীল থাকতে পারবে। ভূরাজনীতি ও কূটনীতি-এই দুই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
- আরও পড়ুন:
- নেপালের বিক্ষোভে সতর্ক নজর ভারতের
- সাবেক প্রধানমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পেটালো ক্ষুব্ধ জনতা
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে; অধিকার না থাকলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়-সেটাই নেপালে ঘটেছে। বাংলাদেশ পথ দেখিয়েছে, স্বৈরাচারকে মুক্ত করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই। শ্রীলঙ্কায় হয়েছে, বাংলাদেশে হয়েছে, এখন নেপালে ঘটেছে। এই ধারা দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন জাগো নিউজকে বলেন, উপমহাদেশে জেনজির উত্থান ঘটেছে। নেপালের এই পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত নয়। ভারত বা পাকিস্তানেও এমন ঘটনা ঘটলে আমি অবাক হব না। জেনজির এই উত্থান শাসক ও রাজনীতিবিদদের জন্য শিক্ষা। যদি এই অভ্যুত্থান সফল না হয়, ভবিষ্যতে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটবে।
কেএইচ/এনএইচআর/এএসএম